ওয়াইফাই; নেটওয়ার্কিং জগতের অন্যতম প্রধান একটি প্রযুক্তি যা ছাড়া আমাদের আজকের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকাংশেই অচল। ওয়াইফাই কাজ করে তিনটি ফ্রিকোয়েন্সিতে। এগুলো হচ্ছে- ২.৪, ৫ ও ৬০ গিগাহার্জ। ২.৪ ও ৫ গিগাহার্জ ওয়াইফাইয়ের সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত হলেও ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাই সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তবা তেমন কিছু জানি না বা অনেকে কখনো ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাইয়ের নামই শোনেননি। আজ ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাই কি, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো-
বর্তমান সময়ে যত দিন যাচ্ছে ততই হাইস্পীড ডেটা ট্রান্সফার ও ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়ছে। আর ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাই মূলত ব্যবহার করা হয় হাই স্পীডে ডেটা ট্রান্সফার করার জন্য। এতে ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হওয়ার কারণে ৬০ গিগাহার্টজ ওয়াইফাইয়ের রাউটার গুলো একই সাথে অনেক গুলো ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে কোনো ধরনের ব্যান্ডউইডথ কম্প্রোমাইজ না করেই।
২.৪, ৫ ও ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায় ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাইতে এবং এতে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবিট পার সেকেন্ড স্পীডে ডেটা ট্রান্সফার করা যেতে পারে। তবে ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হওয়ার সাথে সাথে এর কিছু অসুবিধাও আছে। এদের রেঞ্জও কমতে থাকে। তাই ৬০ গিগাহার্জ ওয়াই-ফাই তে রেঞ্জ সবচেয়ে কম হয়, অপরদিকে ২.৪ গিগাহার্জ ওয়াই-ফাই তে স্পিড কম হলেও রেঞ্জ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি।
আবার ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াইফাই ছাড়াও ব্লুটুথ ও ওয়াকি-টকিতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে একই সাথে যখন ২.৪ গিগাহার্জ এর এইসব ডিভাইস একইসাথে একই জায়গায় কাজ করে তখন ২.৪ গিগাহার্জ ওয়াইফাইয়ের রেঞ্জ ও ব্যান্ডউইথ কমে যায়। কিন্তু ৬০ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির অন্য কোন ডিভাইস না থাকায় রাউটারের সাথে সংযুক্ত সকল ডিভাইস ডাটা ট্রানসফার চালিয়ে যেতে পারে কোন ধরনের স্পিড কম্প্রোমাইজ ছাড়াই।
তবে এখন পর্যন্ত ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাইয়ের তেমন ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না। আশা করি খুব দ্রুতই ৬০ গিগাহার্জ ওয়াইফাই ছড়িয়ে পড়বে এবং আমরা আরো দ্রুত আমাদের ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবো।
পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো প্লিজ লাইক, কমেন্ট এন্ড শেয়ার করে এমন নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লিখতে উৎসাহ দিতে পারেন। ধন্যবাদ ।